,

‘এবার বোরো আবাদ করে সর্বস্বান্ত হয়েছি’

জেলা প্রতিনিধি, কুড়িগ্রাম: কুড়িগ্রামের উলিপুরে বোরো ধানক্ষেতে নেক-ব্লাস্ট ছত্রাক রোগ ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়েছে। কৃষি বিভাগের পরামর্শে কীটনাশক প্রয়োগ করেও কোনো কাজ হচ্ছে না। ব্লাস্ট রোগ আক্রান্ত শত শত বিঘা জমির ধান ক্ষেতে পড়ে আছে। উৎপাদন খরচ না ওঠায় কৃষকরা ধান কাটছেন না।

কৃষকরা জানান, ২০ শতক জমির ধান কেটে এক মণ ধানও পাওয়া যায় না। ফলে বোরো উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বিপর্যয়ের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ কারণে চলতি বোরো মৌসুমে কৃষকের বাম্পার ফলনের আশা দুরাশায় পরিণত হয়েছে।

কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ১টি পৌরসভা ও ১৩টি ইউনিয়নে চলতি বোরো মৌসুমে ২২ হাজার ২৯৫ হেক্টর জমিতে বোরো চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে উফশী ১৪ হাজার ১৫০ হেক্টর, বিভিন্ন জাতের হাইব্রিড ৮ হাজার ১০ হেক্টর এবং স্থানীয় জাত ১৩৫ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ করা হয়েছে।

ধরণীবাড়ী ইউনিয়নের দক্ষিণ মধুপুর গ্রামের কৃষক আব্দুল লতিফ জানান, রোগাক্রান্ত জমির ধান চিটা হয়ে গেছে। শুধু ধানের গাছগুলো দাঁড়িয়ে আছে। এই ধানগাছ কাটলে উৎপাদন খরচ উঠবে না। সে কারণে ধান কাটার আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছি।

উলিপুর পৌরসভার নারিকেলবাড়ি সন্ন্যাসীতলা গ্রামের মতিয়ার রহমান জানান, তার এক বিঘা জমির ধান ব্লাস্ট রোগে আক্রান্ত হয়ে চিটা হয়েছে। এ ছাড়া নারিকেলবাড়ি আগপাড়া গ্রামের মোসলেম উদ্দিনের ১০ শতক জমির ধান নেক-ব্লাস্ট রোগে চিটা হয়েছে।

উপজেলা কৃষি অফিসার মোশারফ হোসেন বলেন, ব্লাস্ট-রোগ প্রতিরোধে স্টেনজা, দিপা ট্রপার, সেলটিমা, ডায়মেনশন অথবা জিটাভো পানিতে মিশিয়ে জমিতে স্প্রে করাসহ জমিতে পানি ধরে রাখা, ধানের শীষ বের হওয়ার আগে ও পরে দু’বার স্প্রে করা এবং ধানের শীষ বের হলে বিকেলে স্প্রে করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

এই বিভাগের আরও খবর